বৃহস্পতিবার
১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

>

>

আজ শেয়ারবাজারের সাত কোম্পানির শ্রেণি পরিবর্তন

আজ শেয়ারবাজারের সাত কোম্পানির শ্রেণি পরিবর্তন

0Shares

আজ ঢাকার শেয়ারবাজারে সাতটি কোম্পানির শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির উন্নতি হয়েছে, অর্থাৎ তারা জেড ও বি শ্রেণি থেকে এ শ্রেণিতে উঠে এসেছে। বাকি চারটি কোম্পানি বি ও এ থেকে জেড শ্রেণিতে নেমে গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জেনেক্সিল বি শ্রেণি থেকে জেড শ্রেণিতে, সাইফপাওয়ার বি শ্রেণি থেকে জেড শ্রেণিতে, আরামিট এ থেকে জেড , শেফার্ড বি থেকে জেড ও এআইএল এ থেকে জেড শ্রেণিতে নেমে এসেছে।
এ ছাড়া বিচাটেক বি থেকে এ শ্রেণিতে এবং ইউনিয়ন ইনস্যুরেন্স জেড থেকে এ শ্রেণিতে উঠে এসেছে। মূলত যেসব কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ দিতে পারেনি, সেসব কোম্পানিকে জেড তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যারা ঘোষিত লভ্যাংশ বণ্টন করেছে, তাদের এ শ্রেণিতে উঠিয়ে আনা হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করবে এবং আর্থিক বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি হারে লভ্যাংশ দেবে, সেসব কোম্পানিকে এ শ্রেণিভুক্ত করা হবে।

যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে, কিন্তু ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেবে, তাদের বি শ্রেণিতে রাখা হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে এন শ্রেণি এবং গ্রিনফিল্ড কোম্পানি তথা যেসব কোম্পানি উৎপাদনে আসার আগে তালিকাভুক্ত হবে, সেগুলোকে জি শ্রেণিভুক্ত করা হবে। আর যেসব কোম্পানি নিয়মিত এজিএম করবে না, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে না, টানা ছয় মাসের বেশি যাদের উৎপাদন বন্ধ থাকবে, সেসব কোম্পানি হবে জেড শ্রেণিভুক্ত।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য এই শ্রেণিবিভাজন তৈরির পেছনে মূলত দুটি কারণ কাজ করেছিল। প্রথম কারণটি ছিল, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভালো ও মন্দ কোম্পানি বাছাইয়ে সহায়তা করা। দ্বিতীয় কারণটি হলো, শেয়ারের বিপরীতে ঋণদাতা ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানি বাছাই।

জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনায় ঋণ না দেওয়ার জন্য ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।